
প্রকাশিত: Sun, Feb 26, 2023 5:08 PM আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 2:53 PM
ভোট ও জোটের রাজনীতি এবং সরকারবিরোধী সব শক্তি
প্রভাষ আমিন: ভোটের মাঠে এই দলগুলোর কোনো গুরুত্ব না থাকলেও সরকারবিরোধী সব শক্তি একসাথে আছে, এই পারসেপশনের জন্য সেই দলগুলোও এখন বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাই কৌশলের অংশ হিসেবে বিএনপি অলিখিতভাবে ২০ দলীয় জোট বিলুপ্ত করে দিয়েছে। জামায়াতের সাথেও তাদের কৌশলগত দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপি ২০ দলীয় জোট ভেঙে আরও বড় সরকার বিরোধী প্লাটফর্ম গড়তে চাইছে। তারা প্রমাণ করতে চাইছে, সরকার বিরোধী সবগুলো দল বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সাথে মাঠে ৫৪টি দল আছে।
মজাটা হলো, এখানে ডান আছে, বাম আছে, মধ্যপন্থি আছে। পারফেক্ট জগাখিচুড়ি। তাদের মধ্যে টানাপড়েনও আছে। সমস্যা হলো যুগপৎ আন্দোলনে যে ৫৪ দল আছে, তাদের কর্মসূচিতেও বিএনপি থেকে লোক পাঠাতে হয়। যুগপৎ আন্দোলনে গণতন্ত্র মঞ্চ নামে ৭ দলের একটি জোট আছে। এই মঞ্চে আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি, নুরুল হক নুরের মতো বাঘা বাঘা নেতারা আছেন। কিন্তু কে কার চেয়ে বড় বাঘ এই নিয়ে কামড়াকামড়ি শুরু হয়ে গেছে। জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি আছে উভয়সঙ্কটে। ভোটের প্রশ্নে জামায়াত ছাড়া তাদের চলবে না। কিন্তু জামায়াত পাশে থাকলে বামসহ অনেকেই কাছে আসতে চাইবে না।
যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিএনপি তাই জামায়াতের সাথে একটু দূরত্ব রেখেই চলতে চাইছে। তাতে অভিমান করেছে জামায়াত। আসলে বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক কাঁঠালের আঠার মতো। কেউ কাউকে ছাড়তে পারবে না। জামায়াতের যেটুকু ভোট তা বিএনপির লাগবেই। আবার নিবন্ধনহারা জামায়াতেরও বিএনপি ছাড়া গতি নাই। জামায়াতের তবু কিছু ভোট আছে, অন্য ইসলামী দলগুলোর তাও নেই। ওয়াজে যত লোক আসে, বাক্সে তত ভোট পড়ে না। হাফেজ্জী হুজুরের বটগাছও মহীরুহ হতে পারেনি, জাকের পার্টির গোলাপ ফুলও সৌরভ ছড়াতে পারেনি, চরমোনাইয়ের হাত পাখার বাতাসও ঝড় তোলেনি। এই দলগুলো মূলত আওয়াজ সর্বস্ব।
ইসলামী দলগুলো নিজেরা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে তারা কার সাথে আছে; এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একসময় বাংলাদেশে ইসলামী দলগুলোর অলিখিত নেতা ছিল বিএনপি। এখন আওয়ামী লীগ সেখানে ভাগ বসাতে মরিয়া। হেফাজতে ইসলামকে পোষ মানানো গেছে আগেই। অন্য দলগুলোর সাথেও গোপন যোগাযোগ আছে। অসাম্প্রদায়িক চরিত্রে কিছুটা আপস করে হলেও আওয়ামী লীগ ধর্মীয় দলগুলো পাশে চাইবে। নির্বাচনের এখনো প্রায় এক বছর বাকি। এই সময়ে আরও মেরুকরণ হবে, কেনাবেচা হবে, দর কষাকষি হবে। এখানে আদর্শের আসলে কোনো বালাই নেই। সবই স্বার্থ। তবে ভোটের রাজনীতি, জোটের রাজনীতি ভুলে দলগুলো যদি জনগণের জন্য একটু রাজনীতি করতো, তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল হতো। লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
